কবুতরের ঘরে ইঁদুরের আক্রমণ খুবই যন্ত্রণাদায়ক। এতে কবুতরের নানা ধরনের সমস্যা হয়। এছাড়াও কবুতর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। তাই কবুতরের ঘর থেকে ইঁদুর দূর করার ৩টি সহজ পদ্ধতি নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলে-
প্রথম পদ্ধতিঃ
ইঁদুরের প্রথম ও প্রাধান শত্রু বিড়াল ও কুকুর। আর এই দুইটি প্রাণীর অভ্যাস হল, বিভিন্ন জায়গায় প্রস্রাব করা। আর যেহেতু এদের প্রস্রাবে প্রচুর ঝাজাল গন্ধ থাকে। ইঁদুর এই গন্ধ কে প্রচণ্ড ভয় পায়। কিন্তু যেহেতু আপনার যে প্রাণীটার কথা বলছি সেটা আবার বিড়ালের পছন্দ না। আর কুকুর যেহেতু সবার পক্ষে পালা সম্ভব না।
নাপাকি বা অন্য যে কারনেই হোক। তাই এর পরিবর্তে যদি ক্যমিকাল অ্যামোনিয়া অল্প পরিমান একটা পাত্রে রেখে সেটা খামারের এক কোনায় বা একটা প্লাস্টিক এর বোতলে অ্যামোনিয়া ভরে উপরে ৩-৪ তা ফুটা করে যদি খামারে রেখে দিয়া হয় তাহলে এতে ভাল কাজ করে।
দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ
বাজারে বিভিন্ন ধরনের ট্র্যাপ পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যাবহার করতে পারেন বা এক ধরনের আঠা পাওয়া যায়। বাজারের মুদি বা হাডওয়ারের দোকানে দাম ১০০ টাকা করে নেয় সেটা একটা ছোট কাথের মধ্যে দিয়ে ইঁদুর চলাচলের জায়গায় রেখে দিলে।
সেখানে ইঁদুর আটকিয়ে মারা যায়। এখত্রে আপনি টোপ হিসাবে কোন খাবার ব্যাবহার করতে পারেন। এভাবে আমি প্রায় ৭০-৮০ ইঁদুর মেরেছি।
তৃতীয় পদ্ধতিঃ
মরিচের ঝাল সস, গোল মরিচ গুঁড়া ও ওয়াসাবি নামে এক ধরনের গাছের মূল পাওয়া যায়, যা চাইনিজরা রান্নাতে ব্যাবহার করেন। বিভিন্ন চেইন শপ গুলোতে পাওয়া যায়। এই দুইটা উপাদান এক সাথে মিক্স করে তার উপর ওয়াসাবি একটা পাত্রে রেখে দিলে ইঁদুর খেতে এসে ঝাল এর ঝাঁজে পালায়।
এছাড়াও আপনি যদি একটা নির্দিষ্ট জায়গায় চটের বস্তা রেখে দেন তাহলে সেখানে এরা ঘড় বানায় বা বানাতে পছন্দ করে। সময় মত রাতে চটের বস্তার মুখ বন্ধ করে পানির বালতি পানি পূর্ণ কোন জায়গায় ঢেলে দিলে বাচ্চা সহ মারা যায়।