আপনি যদি দেখতে পান কোনো লক্ষণ ছাড়াই আপনার খামারের ব্রিডিং কবুতর গুলির পা ফুলে যাচ্ছে। পায়ে ইনফেকশন হয়ে পচন ধরছে, এমন কি পায়ে ভর দিতে পারছেনা,প্যারালাইস্ড হয়ে যাচ্ছে।
আপনি হয়তো ভাবছেন এটা কোনো ছোঁয়াছে রোগ, এটা আপনার ভুল ধারনা।এটা কোনো ছোঁয়াছে রোগ নয়, এটা আপনারি অতি ভালবাসার ফল। যে ভালোবাসা আপনি দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসছেন। যেমনঃ-
১/ অপ্রয়োজনে শুধু শুধু অতি মাত্রায় মাসভর ভিটামিন ব্যাবহার করা।
২/ যেকোনো রোগের লক্ষণ দেখা মাত্র পাওয়ারফুল এন্টিবায়োটিক ব্যাবহার করা।
৩/ বছরের পর বছর খাঁচায় আটকে রাখা,
৪/শারীরিক এক্সারসাইজ করার ব্যাবস্থা না থাকা। অর্থাৎ ফ্লাইং জোন না থাকা। ইত্যাদি কারনে আপনার কবুতর গুলোর এমন পরিণতি হয়ে থাকে।
এসব ক্ষেত্রে অনেকেই কবুতর সুস্থ কারার জন্য অস্থির হয়ে আবারো একি ভুল করে বসে। অর্থাৎ পাওয়ারফুল এন্টিবায়োটিক ব্যাবহার করে।এমত অবস্থান এই কাজটি হলো কবুতরটাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া।
🌺🌺🌺 কবুতরের পা ফোলা বা পায়ে ইনফেকশন এর চিকিৎসা ও করনীয়🌺🌺🌺
১/ কাঁচা হলুদ বেটে পেস্ট করে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখা একদিন পরপর পরিষ্কার করে নতুন করে আবারো লাগানো দরকার। এতে দুইটা কাজ হবে কবুতর খতস্থানের ব্যাথা কমবে পাশা এন্টিবায়োটিকের কাজ করবে।
২/ Moxicilin গ্রুপের Moxacil Vet একটা ট্যাবলেটের ৬ ভাগের ২ ভাগ করে এক ভাগ করে প্রতিদিন ২ বার সকাল ও বিকালে।
৩/ Calvet DB কিংবা Foscolo DB ৮ ভাগের ১ ভাগ করে প্রতিদিন একবার।
৪/ কবুতর সুস্থ ও স্বাভাবিকতা ফিরে পেলে , ডিম বাচ্চার জন্য অস্থির না হয়ে দুই থেকে তিনমাস ফ্লাইং জোনে শারীরিক এক্সারসাইজ করার ব্যাবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে ঐ কবুতর পুর্বের ন্যায় আবার স্বাভাবিকতা ফিরে পাবে। আমার ধারনা এই সমস্যা গুলি বড় খামারিদের খামারে বেশী দেখা দেয়।
আমার এই পোস্ট কেউ কপি করে কোনো গ্রুপে না করার অনুরোধ রইলো। এই পোস্ট শুধু মাত্র ব্লগে ব্যবহারের জন্য অনুমতি প্রাপ্ত।
আপনাদের ভালোবাসাই আমদের আগামীর পথ চলার পাথেয় ।