কবুতরের ডিম ও বাচ্চা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য নিচে দেওয়া হলো-
(ক) কবুতরের ডিমঃ
১। কবুতর সাধারণত ৫ মাস বয়সে প্রথমবার ডিম দেয়। সর্বচ্চ ৭ মাস সময় নিতে পারে।
২। কবুতর সাধারণত ৪৮ ঘন্টার ব্যাবধানে দুইটি ডিম দিয়ে থাকে।এবং ৪০-৫০ দিনের ব্যবধানে আবার নতুন ডিম দেয়।
৩। কবুতর সাধারণত বিকেলে বা সন্ধ্যার পর ডিম দেয়।
৪। সাধারণত ৪ থেকে ৫ দিনে ডিম জমতে শুরু করে।
৫। প্রথম ডিম দেয়ার পর মা কবুতর ওই ডিমের উপর দাঁড়িয়ে থাকে অর্থাৎ ডিমে তাপ দেয় না। এতে আপনি বুঝবেন কবুতরটি দ্বিতীয় ডিম দিবে। যদি দেখেন প্রথম ডিমে প্রথম থেকেই তা দিচ্ছে তবে বুঝবেন কবুতরের ২য় ডিম দেবার সম্ভাবনা নেই।
৬। মাঝে মাঝে কবুতর তিনটি ডিমও দিয়ে থাকে। তবে তৃতীয় ডিমটি প্রথম দুটি ডিমের তুলনায় ছোট হয়।
৭। কবুতরের একটা ডিমের গড় ওজন ১৪ – ১৫ গ্রাম হয়ে থাকে।
৮। ডিম দেয়ার পর নরমালি মা ও বাবা কবুতর পালাবদল করে ডিমে তা দেয়।
৯। কবুতরের ডিম সাধারণত ১৭ -১৯ দিনে ফুটে।
১০। কবুতরের ডিম যদি গরম পানিতে সিদ্ধ করা হয় তবে তা কাঁচের মত সচ্ছ দেখায়।
১১। ডিম ধরলে বাচ্চা হবে না এটা একটা কুসংস্কার।
(খ) কবুতরের বাচ্চাঃ
১। সাধারণত কবুতর ডিম দেবার ১৭-১৯ তম দিনে ডিম থেকে বাচ্চা বের হয়।
২। সাধারণত কবুতরের বাচ্চা ডিমের একদম মাঝখান থেকে ভেংঙ্গে বের হয়।
৩। ১ দিন বয়সের কবুতরের বাচ্ছার ওজন গড়ে ১২/১৩ গ্রাম হয়।
৪। সাধারণত বাচ্চা ফোঁটার ৪ থেকে ৫ দিনে বাচ্চার চোখ খোলে।
৫। কবুতরের বাচ্চার পরিপূর্ণ হতে ২৬ থেকে ২৮ দিন সময় লাগে। এবং নিজে নিজে খেতে পারে।
৬। কবুতরের বাচ্চাকে স্কুইকার বলে।
৭। কবুতরের বাচ্চা ফোঁটার প্রথম ৪ দিন শুধু এক ধরনের দুধ খেয়ে বেঁচে থাকে, একে পিজন মিল্ক বা ক্রপ মিল্ক বলে। এবং এটি ৭ দিন পযন্ত চলে।
৮। কবুতরের বাচ্চা উড়া শিখতে ২৫- ৩০ দিন সময় লাগে।
এর বাইরে আপনার কোন তথ্য জানা থাকলে আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।আসা করি সাথেই থাকবেন।
নতুন এবং প্রয়োজনীয় পোষ্ট গুলো পেতে আমাদের ব্লগটি Follow করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সংঙ্গে থাকুন। এছাড়াও কোথাও কোন ভুলহলে ক্ষমাসুন্দর দৃৃষ্টিতে দেখার অনুুরোধ রইলো।