নর কবুতর কিভাবে চিনবেন? কবুতর সম্পর্কে খুব বেশি অভিজ্ঞ না হলে নর/পায়রা ও মাদ/পায়রী কবুতর চেনা দুঃসাধ্য ব্যাপার। আমি নিজেও অনেক সময় নর ও মাদি কবুতর আলাদা করতে গিয়ে দ্বিধায় পড়ে যাই। তারপরও কিছু লক্ষণ দেখলে বুঝা যায় কোনটা নর কবুতর আর কোনটা মাদি কবুতর। আজকের আলোচনায় নর কবুতর চেনা নিয়ে নর কবুতরের ১২ টি বৈশিষ্ট্য আপনাদের বলে দিবো। তাহলে আর দেরি না করি মূল আলোচনা শুরু করছি-
=> নর কবুতর চেনার ১২ টি উপায়ঃ
১) নর কবুতর মাদি কবুতরের চেয়ে সাইজে অনেক বড় হয়। এবং নর কবুতরের মাথা চ্যাপ্টা আকৃতির হয়।
২) যদি আপনি কবুতর হাতে নিয়ে চোখের দিকে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন নর কবুতরের চোখ চ্যাপ্টা আকৃতির অর্থাৎ নর কবুতরের চোখ চ্যাপ্টা আকৃতির হয়।
৩) নর কবুতর চেনার আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো- নর কবুতরের গলা লম্বা ও মোটা আকৃতির হয়।
৪) যে কবুতরের আঙ্গুল বেশি খসখসে হবে অর্থাৎ মসৃন ও উজ্জল হবে না সে কবুতর ৯০% নর হওয়ার সম্ভাবনা রাখে।
৫) নর কবুতরের পায়ুপথ চ্যাপ্টা আকৃতির হয়। যখন নর ও মাদি কবুতর ব্রিডিং অবস্থায় থাকে তখন নর কবুতরের পায়ুপথের চ্যাপ্টা আকৃতি ভালোভাবে বুঝা যায়।
৬) নর কবুতরের ঠোঁট মাদি কবুতরের চেয়ে একটু বড় হয়।
৭) নর কবুতর মাদি কবুতরের চেয়ে তুলনামূলক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কম থাকে।
৮) নর কবুতরের গলার স্বর মোটা ও জোরে জোরে ডাকে, ডাকার সময় মাদি কবুতরের সামনে নর কবুতর নৃত/নাচ করতে থাকে।
৯) নর কবুতর মারামারি বা ঠুকর-ঠুকরি বেশি করে অর্থাৎ আক্রনাত্নক হয়ে থাকে।
১০) কবুতর ব্রিডিং মোডে থাকা অবস্থায় নর কবুতর খাচার ভেতর কিংবা খোপের ভেতরে মাদি কবুতরের পায়ের কাছে নিচু হয়ে বসে একপ্রকার শো শো শব্দ করেতে থাকে।
১১) অপরিচিত কোনো কবুতর বা বস্তু দেখলে সাধারণত নর কবুতরটা প্রথমে তার দিকে এগিয়ে যায়।
১২) নর কবুতর, সাইজে বড়, ঘাড় মোটা ও শক্তিশালী থাকে।
🔴বিঃদ্রঃ রেসিং কবুতরের বেলায় নর ও মাদি কবুতর একই স্বরে ডাকতে পারে। আবার কবুতর জোড়া যদি অসুস্থ হয় তাহলেও নর-মাদি চিনতে অসুবিদা হবে। তাই আগে দেখতে হবে কবুতর জোড়া সুস্থ আছে কিনা। অনেক সময় এর ব্যাতিক্রম হতে পারে। যেমন- মাদি কবুতর নর কবুতরের চেয়ে আক্রমনাত্নক হতে পারে।
আজ এ পর্যন্তই। সকলের সুস্থতা কামনা করে শেষ করছ। আল্লাহ হাফেজ…
=> Youtube Channel: (এখানে ক্লিক করুন)
=> Facebook Page: (এখানে ক্লিক করুন)