শীতকাল আসলেই কবুতর প্রেমীদের চিন্তার শেষ থাকেনা! তুলনামূলক ভাবেই শীতকালে রোগ বালাই একটু বেশিই হয় ৷প্রচন্ড শীতে কবুতরকে কোন ধরনের ঔষধ ছাড়াই শুধুমাত্র কালাপানি খাইয়ে কবুতরকে রাখতে পারেন গরম ,সুস্থ ও সুন্দর!
❤️কালা পানি জিনিস টা কী ?
কালা পানি হলো বিভিন্ন মসলার স্বমনয়ে বানানো বিশেষ ধরনের এক পানি।
কালা পানি সম্পূর্ন ঘরোয়া উপায়ে তৈরী বলে এর কোন পার্শ প্রতিক্রিয়া নেই!
❤️কার্যকারীতাঃ
লিভার ভালো রাখবে, হজম শক্তি বাড়বে, ক্ষুধা বাড়বে তাই কবুতরের শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, কবুতরের শরীর গরম রাখে, বেশী ঊড়ার কারণে শরীরে যেই ব্যাথা হয় সেটা কমায়, সব মিলিয়ে কবুতরকে চাংগা রাখে তাই কবুতর বেশী সময় ঊড়ে এবং অপেক্ষাকৃত কম অসুস্থ হয়।
❤️যেভাবে খাওয়াবেনঃ
সাধারণ পানির মত কবুতরকে পরিবেশন করবেন (কুসুম গরম অবস্থায়) পাশাপাশি যেদিন প্রচন্ড ঠান্ডা পড়বে সেদিন।
যেহেতু কালা পানি একটু তিক্ত হয় তাই কবুতর স্বাভাবিক ভাবেই খেতে চাইবে না৷ এজন্য যেদিন কালা পানি খাওয়াবেন সেদিন কবুতরকে পিপাসার্ত রাখতে হবে এবং এটা কবুতরের খাবার-খাওয়ার পরে দিবেন ৷
শুধুমাত্র শীতকালে নয়, গরমের দিনেও আপনি আপনার কবুতরকে কালা পানি দিতে পারেন। হাজারো এন্টিবায়টিক এবং ঔষধের মহা ঔষধ হলো এই কালা পানি ৷গরমের দিনে সপ্তাহে ১দিন দিবেন , যেহেতু এটা খাওয়ানোর পর কবুতরের শরীর গরম হয়ে যায় সুতরাং অবশ্যই বিকালে অথবা রাতে দিবেন৷
❤️প্রয়োগ বিধিঃ
১ এম এল ১ লিটার ফোটানো বিশুদ্ধ স্বাভাবিক পানির সাথে দিতে হবে ( গরমকালে প্রয়োজনে ফ্রিজের ঠান্ডা পানির সাথে মিশিয়ে দিতে পারেন )। ২/৩ দিন গ্যাপ দিয়ে আবার ২ দিন দিবেন। বেশী ঠান্ডা পরলে ২ এম এল ১ লিটার পানিতে দিতে পারেন। ৬—৭ ঘণ্টা পর অবশিষ্ট মিশ্রন ফেলে দিবেন।
❤️উপাদানঃ
❣️পানি ৩ লিটার
❣️ত্রিফলা চূর্ণ এক বক্স
❣️রসুন ২০০ গ্রাম
❣️চিরতা ১০ গ্রাম
❣️বেলশুট ২০০ গ্রাম
❣️আদা ১০০ গ্রাম
❣️মেথি ৫০ গ্রাম
❣️এলাচ ছোট ৩০ পিস
❣️এলাচ বড় ১০ পিস
❣️দারুচিনি ১০০ গ্রাম
❣️বিট লবণ ২ চামচ
❣️তাল মিশ্রি আধা কেজি ( ১/২ )
❣️কারমিনা বড় একটি
কালাপানি ! সবগুলো গুড়া করে পানিতে দিলে ভালো হয়। ৩ লিটার পানি জাল দিয়ে ফুটিয়ে ২ লিটার হলে নামিয়ে ফেলবেন। নামানোর পর সম্পূর্ণ ঠান্ডা হলে তারপর তাল মিস্রি ও কারমিনা মিশাবেন।
❤️উল্লেখ্য: এই পানিটি যদি নিয়মিত খাওয়ান তবে আলাদাভাবে কোন ধরনের কৃমির কোর্স বা ঔষধ দেওয়া লাগবে না!(কালাপানি ফ্রিজে সংরক্ষণ করবেন)।